আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। বর্তমান সময়ে অনেকেই ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করছে এবং ইনকাম করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে ইউটিউব থেকে কয়টি উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এই বিষয়ে আমি আজকে বিস্তারিত বলব আপনাদের যাতে আপনারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সঠিক ধারণা জানেন পরবর্তীতে কোন সমস্যা না হয়।
ইউটিউব থেকে কয়টি উপায়ে ইনকাম করা যায়
- ইউটিউব মনিটাইজেশন AdSense থেকে পাঁচটি মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।👇
- YouTube Watch Page Ads
- YouTube Shorts Feed Ads
- Membership
- Supers
- Shopping
Brand Promotion মানে হলো কোনো ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে মানুষের কাছে পরিচিত করানো বা জনপ্রিয় করা।
👉 এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড তাদের নাম, মান, এবং কাজ মানুষকে দেখায়।
👉 লক্ষ্য হলো — ব্র্যান্ড যেন মানুষের মনে থাকে এবং বিক্রি বাড়ে।
✔ উদাহরণ:
একটা কোম্পানি তাদের মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে
একজন ইউটিউবার ভিডিও বানিয়ে বলছে, “এই প্রোডাক্টটা খুব ভালো!”
ফেসবুকে স্পন্সরড পোস্ট দিয়ে প্রোডাক্ট প্রচার করা
সবই Brand Promotion.
Sponsorship মানে কোনো ব্র্যান্ড বা কোম্পানি টাকা, প্রোডাক্ট বা সুবিধা দিয়ে আপনার কনটেন্ট/ইভেন্ট/ভিডিওতে তাদের ব্র্যান্ড তুলে ধরতে চায়।
👉 তারা আপনাকে টাকা দেয়
👉 আপনি তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করেন
✔ উদাহরণ:
কোম্পানি আপনাকে টাকা দিয়ে বলে তাদের প্রোডাক্ট রিভিউ করতে
ভিডিওতে তাদের ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো দেখাতে
ইভেন্টে তাদের ব্যানার লাগাতে
এটাই Sponsorship.
নিজেও ডিজিটাল সার্ভিস সেবা দিয়ে ইনকাম করতে পারেন
আপনি যদি প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকে, তাহলে আপনি কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের Subscription নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এটা হচ্ছে যে অনেক অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের Subscription নেওয়ার জন্য ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড অথবা ভিসা কার্ডের প্রয়োজন হয়। এই কার্ড সবার থাকে না বা সবাই নিতে পারে না। তাই যাদের কোন ওয়েবসাইটে বা অ্যাপ এর Subscription প্রয়োজন হলে আপনি তাদেরকে Subscription নিয়ে দিবেন। আর তাদের থেকে আপনার বিকাশে টাকা নিবেন। এছাড়া আরো অনেক মাধ্যম আছে ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করা যায়। আরো আপনি চাইলে আরো ফেসবুকে ব্লু ভেরিফাই করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে জানেন সেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। এছাড়া যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং ডিজাইন করতে পারেন। তারাও চাইলে কিন্তু ইনকাম করতে পারেন। যে বিষয়ে জানেন সেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। এখন কাজ করবেন ঠিক আছে কার কাজ করবেন কাস্টমার কই পাবেন। সো সেই জন্য ইউটিউবে যে ভিডিও আপলোড করবেন, সেই ভিডিওর ভিতরে বলবেন আপনি যে সার্ভিস দিয়ে থাকেন, সেই বিষয়ে সুন্দর মত ছোট্ট করে একটা এডের মতো করে আগে থেকে ভিডিও বানিয়ে রাখবেন। তারপর আপনার মেইন ভিডিওর ভেতরে কোন এক জায়গায় এড হিসেবে ওই ছোট্ট ভিডিওটি এড করে দিবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই ভিডিওর ভিতরে যে এড দিবেন ওই এডর শেষে বলবেন, যে আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবে। যারা আপনার থেকে সার্ভিস নিবে। এজন্যে ফেসবুক পেজ অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দিয়ে দিবেন ভিডিও তে এবং ভিডিও ডেসক্রিপশন অথবা কমেন্ট এ তারপর ভিডিও আপলোড করে দেন আপনার চ্যানেলে। তারপর দেখবেন যে আস্তে আস্তে না থেকে সার্ভিস নেওয়ার জন্য অনেক লোক মেসেজ করছে। এভাবে সার্ভিস দিয়ে অনেকেই অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে কাজের জন্য ধৈর্য থাকা লাগবে
অনলাইনে যে কোন কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য থাকা লাগবে। প্রথম অবস্থায় আপনি কাস্টমার পাবেন না। তাই বলে যে আপনি কাজ ছেড়ে দিবেন। তাহলে কোনদিনই সফল হতে পারবেন না। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য প্রয়োজন সেই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। অনেকেই আছে একটু কাজ করার পরেই দেখা যায় যে ইনকাম নেই চিন্তায় থাকে ইনকাম না হলে কাজ ছেড়ে দেন। তাহলে আপনি হেরে গেলেন। আপনাকে লাগাতার কাজ করতে হবে কোনো ইনকামের দিক চিন্তা করা যাবে না। আগে সুন্দর মত কাজ করুন তারপর কাজকে ভালো করুন আস্তে আস্তে দেখবেন যে এমনিতেই আপনার থেকে সার্ভিস নেওয়ার জন্য মানুষজন আপনাকে মেসেজ করবে। যে কোন কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য প্রয়োজন এটা মাথায় রাখবেন।